বন্ধের আদেশ পর আল জাজিরার ইসরায়েল অফিসে পুলিশের অভিযান

৩৭

- Advertisement -

ইসরায়েলে আল জাজিরার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেওয়ার পর জেরুজালেম অফিসে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। জেরুজালেমের একটি হোটেল কক্ষ কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করতো কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যমটি।

রবিবার ইসরায়েলি এক কর্মকর্তা ও আল জাজিরার সূত্র রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছে।

অনলাইনে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা গেছে, সাদা পোশাকের অফিসাররা একটি হোটেল রুমে ক্যামেরার সরঞ্জাম ভেঙে ফেলছেন। হোটেলটি পূর্ব জেরুজালেমে অবস্থিত বলে আল জাজিরা সূত্র জানিয়েছে।

যতদিন গাজায় যুদ্ধ চলতে থাকবে ততদিন আল জাজিরা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভা। সংবাদ মাধ্যমটিকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচনা করছে নেতানিয়াহু সরকার।

আল জাজিরা এই পদক্ষেপটিকে ‘অপরাধমূলক পদক্ষেপ’ বলে অভিহিত করেছে। পাশাপাশি সংবাদ মাধ্যমটি ইসরায়েলি নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি এমন দাবি হাস্যকর ও মিথ্যা বলেও মন্তব্য করেছে। কার্যক্রম বন্ধ করায় সাংবাদিকদের জীবনও ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।

গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের সমালোচনার পাশাপাশি যুদ্ধের সময় ২৪ ঘণ্টাই সংবাদ পরিবেশন করে আসছিল আল জাজিরা।

মন্ত্রিসভা ভোটের পরে নেতানিয়াহু সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টে বলেছেন, ‘ইসরায়েলে উস্কানিমূলক চ্যানেল আল জাজিরা বন্ধ করা হবে।’

একটি সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের যোগাযোগ মন্ত্রী ‘অবিলম্বে কাজ’ করার আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। তবে আইনি প্রক্রিয়ায় আদালতে আইনি লড়াইয়ে যেতে পারবে সংবাদ মাধ্যমটি।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই পদক্ষেপের মধ্যে ইসরায়েলে আল জাজিরার কার্যালয় বন্ধ করা, সম্প্রচার সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করা, কেবল ও স্যাটেলাইট সংস্থাগুলো থেকে চ্যানেলটি বন্ধ করা এবং এর ওয়েবসাইটগুলো ব্লক করা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এতে আল জাজিরার গাজা অপারেশনের কথা উল্লেখ করা হয়নি। তবে কাতার সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থাও আল জাজিরা বন্ধের সমালোচনা করেছে।

সূত্র : রয়টার্স

- Advertisement -

পছন্দের অন্যান্য খবর

- Advertisement -

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.