আবারও চাঁদে যাচ্ছে মার্কিন রকেট

- Advertisement -

 

চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় যাত্রা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি একটি রকেট।মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়, অনন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার স্যুট বহনকারী একটি ল্যান্ডার সফলভাবে উৎক্ষেপণের পর মার্কিন কোম্পানি স্পেসএক্স গতকাল বুধবার দ্বিতীয়বারের মত চাঁদে অবতরণের লক্ষ্যে রকেট উৎক্ষেপণ করেছে।

গত বছর ইনটুইটিভ মেশিনস প্রথম বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে চাঁদে রোবট স্থাপন করে ইতিহাস সৃষ্টি করে, যদিও ল্যান্ডারটি তার পাশে ঝাঁপিয়ে পড়ার কারণে এই সাফল্য কিছুটা ম্লান হয়েছিল। এবার এই পরিস্থিতি এড়াতে চান বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

যুক্তরাষ্ট্রের কেনেডি স্পেস সেন্টারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ১৬ মিনিটে স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯ রকেট উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। সব ঠিক থাকলে, এটি ৬ মার্চের দিকে চাঁদের বিশাল মনস মাউটন মালভূমিতে অবতরণ করবে, যা পূর্বে লক্ষ্যবস্তু করা যেকোনো স্থানের চেয়ে এর দক্ষিণ মেরুর কাছাকাছি।

অ্যাথেনা নামের ওই রকেকটি বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি বহন করছে, যার মধ্যে রয়েছে ভূপৃষ্ঠের নীচে বরফ অনুসন্ধানের জন্য একটি ড্রিল মেশিন এবং বিখ্যাত কম্পিউটার বিজ্ঞানী গ্রেস হপারের নামে গ্রেস হপিং ড্রোন। এটি চাঁদের রুক্ষ ঢাল, পাথর এবং গর্ত অতিক্রম করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে-ভবিষ্যতের ক্রু মিশনগুলোকে সহায়তা করার জন্য একটি মূল্যবান শক্তি।

এ ছাড়াও, এতে একটি ছোট রোভার রয়েছে, যা ল্যান্ডার, রোভার এবং হপারের মধ্যে কমান্ড, ছবি এবং ভিডিও রিলে করে নোকিয়া বেল ল্যাবস দ্বারা সরবরাহিত একটি চন্দ্র সেলুলার নেটওয়ার্ক পরীক্ষা করবে। এই নেটওয়ার্কটি অবশেষে মহাকাশচারীদের স্যুটে সংহত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

ইন্টুইটিভ মেশিনস সিইও ট্রেন্ট মার্টিন হপার সম্পর্কে জোর দিয়ে বলেছেন, এই ধরনের ড্রোন ভবিষ্যতের মিশনে রোভারের পরিপূরক হতে পারে, ‘এমন চরম ভাবাপন্ন পরিবেশে যেখানে আপনি গাড়ি চালাতে পারবেন না।’

- Advertisement -

পছন্দের অন্যান্য খবর

- Advertisement -

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.