সেহরির পর নিয়ত না করলে রোজা হবে কি?

ডেস্ক রিপোর্ট

৩৯

- Advertisement -

হাতে গোনা কয়েকদিন পরেই রহমত, বরকত ও নাজাতের বার্তা নিয়ে হাজির হবে পবিত্র রমজান মাস। এ মাসটি সাওম সাধনার মধ্যদিয়ে পার করেন মুসল্লিরা।

এই মাসে রাতের শেষভাগে সেহরি খেয়ে রোজা রাখেন মুসলমানেরা। সাধারণত সেহরি হলো রোজা রাখার উদ্দেশ্যে সুবহে সাদিকের আগে যে খাবার গ্রহণ করা হয়।

এখন প্রশ্ন উঠতে পারে সেহরি খাওয়ার পর নিয়ত না করলে রোজা হবে কি না।

এ বিষয়ে ইসলামি গবেষকরা বলছেন, রোজা রাখার জন্য রোজার নিয়ত জরুরি। তবে রমজান মাসে শেষ রাতে রোজা রাখার জন্য ঘুম থেকে ওঠা ও সেহরি খাওয়াটাই রোজার নিয়তের অন্তর্ভুক্ত। আলাদাভাবে আর কোনো নিয়তের প্রয়োজন নেই।

তবে কেউ আলাদাভাবে নিয়ত করতে চাইলে করতে পারবেন। কিন্তু নিয়ত মুখে উচ্চারণ করা জরুরি নয়। তাই কেউ মুখে নিয়ত না করলেও তার রোজাগুলো আদায় হয়ে যাবে। (সূত্র : আল-বাহরুর রায়েক : ২/৪৫২; আল-জাওহারুতুন নাইয়্যিরাহ : ১/১৭৬; রাদ্দুল মুহতার : ৩/৩৩৯, ৩৪১; ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ১/১৯৫)

বাংলাদেশে রোজার একটি আরবি নিয়ত প্রসিদ্ধ— যেটা মানুষ মুখে পড়ে থাকেন। তবে এটি হাদিস ও ফিকাহের কোনো কিতাবে বর্ণিত হয়নি। তবে কেউ চাইলে পড়তে পারেন। (তবে জেনে রাখা উচিত যে, নিয়ত পড়ার চেয়ে নিয়ত করা গুরুত্বপূর্ণ।)

রোজার নিয়তের বাংলা উচ্চারণ

নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম, মিন শাহরি রমাদানাল মুবারাক; ফারদাল্লাকা ইয়া আল্লাহু, ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম।

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের তোমার পক্ষ থেকে নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ (নিয়্যত) করলাম। অতএব তুমি আমার পক্ষ থেকে (আমার রোযা তথা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে) কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।

- Advertisement -

পছন্দের অন্যান্য খবর

- Advertisement -

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.