২ যুগের সেই আক্ষেপ ঘোচাতে পারবে ভারত?

- Advertisement -

২০০০ সাল, কেনিয়ার নাইবোরি। জিমখানা ক্লাব গ্রাউন্ড দর্শকে টইটুম্বুর। ভারতের পক্ষে গলা ফাটাচ্ছিলেন হাজারও সমর্থক। উচ্ছ্বাসজারি  থাকল ম্যাচের প্রথম কয়েক ঘণ্টা। শেষ এক ঘণ্টায় নাইবোরির স্টেডিয়ামটিতে পিনপতন নিরবতা। ততক্ষণে ভারতকে নক আউট করে দিয়েছে নিউজিল্যান্ড।

সেই দিন থেকে আজ—মাঝে কেটে গেছে দুই যুগ। আইসিসির নক আউট টুর্নামেন্টটির নামে পরিবর্তন এসেছে। বদল এসেছে ফরম্যাটে। ২৫ বছর পর বদলে যাওয়া ক্রিকেটে আবারও দুই প্রতিদ্বন্দ্বি এক মঞ্চে উপস্থিত। তিনদিন পর দুবাইয়ে কিউইদের বিপক্ষে শিরোপার লড়াইয়ে নামবে ভারত। আক্ষেপ ঘোচানোর কিংবা রোহিত শর্মাদের এবার সেইদিনের বদলা নেওয়ার মঞ্চ।

পাকিস্তান ও আরব আমিরাতে বসা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দুর্দান্ত ধারাবাহিক ভারত। নিউজিল্যান্ডও দেখাচ্ছে দোর্দণ্ডপ্রতাপ। তবে এবারের আসরে তারা রোহিতদের কাছেই দেখেছে একমাত্র হার। তাছাড়া কন্ডিশন, শক্তিমত্তা কিংবা পরিসংখ্যানের ক্ষেত্রেও ভারত এগিয়ে।

তবে এই আসরে ভারতকে শিরোপা খরা দিয়েছিল নিউজিল্যান্ডই। ২০০০ সালের টুর্নামেন্টের হিসাব-নিকাশ ছিল এমন—যারা হারবে তারাই ফিরবে বাড়ি। ভারত শেষ পর্যন্ত টিকে ছিল। কেনিয়ায় বসা টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচেই তারা হারায় স্বাগতিকদের। এরপর সৌরভ গাঙ্গুলিদের কাছে একে একে পরাস্ত হয় অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে শিরোপার মঞ্চে পারেনি টিম ইন্ডিয়া।

অধিনায়ক সৌরভের সেঞ্চুরির আর শচীন টেন্ডুলকারের ফিফটিতে আড়াইশ ছাড়ানো সংগ্রহ পায় ভারত। দারুণ লড়াইও চালায়। কিন্তু সব মাটি করে দেন ক্রিস কেইর্নস। তার দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ভর করেই ১৬৪ রানের লক্ষ্য টপকে যায় ব্ল্যাক ক্যাপসরা। সেই হারের ক্ষত এখনও তরতাজা। যদিও ভারত ২০১৩ সালে এই টুর্নামেন্ট জিতেছিল। তবে বদলা নেবার সুযোগ এবার।

রোহিত শর্মারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। নাইবোরি আর ফিরতে দিতে চান না মোহাম্মদ শামি-বিরাট কোহলিরা। আট জাতির টুর্নামেন্ট নেমেছে দুদলের লড়াই। এবার যারা জিতবে, তাদের হাতেই ‍উঠবে শিরোপা।

দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম প্রস্তুত। প্রস্তুত রোহিত ব্রিগেডও। তাদের রুখতে প্রত্যয়ী মিচেল স্যান্টনারের দলও। পঞ্চাশ ওভারের লড়াইয়ের যা অপেক্ষা। ৯ মার্চ বদলা কিংবা আক্ষেপ বাড়ানোর দিন।

- Advertisement -

পছন্দের অন্যান্য খবর

- Advertisement -

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.