ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যভুক্ত দেশ স্লোভেনিয়া ঘোষণা দিয়েছে, তারা ইসরাইলের কট্টর ডানপন্থী দুই মন্ত্রীকে দেশটিতে প্রবেশ করতে দেবে না। এই দুই ইহুদিবাদী হলেন ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গভির ও অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোত্রিচ।
বৃহস্পতিবার এক সরকারি বিবৃতিতে এমন ঘোষণা দেয় দেশটি। সরকারের ভাষ্যমতে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভেতরে এটি এই ধরনের প্রথম পদক্ষেপ।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইতামার বেন গভির ও বেজালেল স্মোত্রিচকে ‘পার্সোনা নন গ্রাটা’ (অবাঞ্ছিত ব্যক্তি) ঘোষণা করবে স্লোভেনিয়া। তারা চরম সহিংসতা উসকে দেওয়া ও ফিলিস্তিনিদের মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘনে জড়িত এবং তারা গণহত্যামূলক বক্তব্য দিয়েছেন।
এর আগে জুন মাসে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ব্রিটেন, নিউজিল্যান্ড এবং নরওয়েও স্মোত্রিচ ও বেন গভিরের বিরুদ্ধে অনুরূপ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। এই দুই মন্ত্রী ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর জোট সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।
গাজা যুদ্ধ এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপন সংক্রান্ত কট্টর মন্তব্যের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন স্মোত্রিচ ও বেন গভির।
পশ্চিম তীরের একটি বসতিতে বসবাসকারী স্মোত্রিচ দীর্ঘদিন ধরে সেখানে ইসরাইলি বসতির সম্প্রসারণের পক্ষে এবং এই অঞ্চলকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরাইলের সঙ্গে একীভূত করার আহ্বান জানিয়ে আসছেন।
স্লোভেনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী টানিয়া ফায়োন এই নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভেতরে এটাই এই ধরনের প্রথম পদক্ষেপ।’
গত ২১ মে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে দেওয়া এক ভাষণে স্লোভেনিয়ার প্রেসিডেন্ট নাটাসা পির্ক মুসার গাজায় ইসরাইলি গণহত্যার নিন্দা করে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
এর আগে মে মাসেই স্লোভেনিয়া ইসরাইলের গাজায় সামরিক অভিযান সম্প্রসারণের ঘোষণার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আরও পাঁচটি ইউরোপীয় দেশের সঙ্গে এক হয়ে বলেছিল, তারা গাজায় কোনো জনসংখ্যাগত বা ভৌগোলিক পরিবর্তনকে ‘দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান’ করে।
গাজায় ইসরাইলের বিমান হামলার প্রতিক্রিয়ায় নিন্দা জানিয়ে গত বছর আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে ও স্পেনের পর স্লোভেনিয়াও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দেয়।
এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫০টি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।